গত ২৬/০৯/২০২৪ খ্রি. তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ টায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়, মুরাদনগর, কুমিল্লা এ নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক র্যালী ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানীত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, মুরাদনগর, কুমিল্লা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব জুয়েল মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কার্যালয়ের নমুনা সংগ্রহ সহকারী জনাব মোঃ নাজমুস সাকিব। বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীরা সকাল ১১:০০ টায় তাদের নিজ নিজ আসন গ্রহণ করে। তাদের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার পক্ষ হতে সচেতনতামূলক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক নির্দেশিকা বই, লিফলেট, মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফাইল, নোটবুক, খাতা, কলম ও পেন্সিল বিতরণ করা হয়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়। প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, মুরাদনগর, কুমিল্লা। পরবর্তিতে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্যের নিরাপদতা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন পেশ করেন কুমিল্লা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব জুয়েল মিয়া। বাংলাদেশে খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাঁদ্য কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। রান্নার স্থানে পালনীয় বিষয় সমূহ, খাদ্য নিরাপদ রাখার ৫ টি চাবিকাঠি, সঠিকভাবে রেফ্রিজারেটরে খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য সংরক্ষণে তাপমাত্রার গুরুত্ব, খাদ্য কিভাবে অনিরাপদ হয় ও তা থেকে বেচে থাকার উপায় এবং নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সবাইকে খাবার রান্না ও গ্রহণ করার আগে সাবান দিয়ে হাত যথাযথভাবে পরিষ্কার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তব্য শেষে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার সবার সাথে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক । তিনি অস্বাস্থ্যকর খাবার হতে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকার আহবান জানান। পচা-বাসি ও বাইরের খোলা খাবার এবং খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার, যেমন ফুচকা বা ঝালমুড়ি খেলে জীবানুর আক্রমণে কি কি শারীরিক সমস্যা হতে পারে তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন এবং এসব খাবার গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করেন। শুধু নিরাপদ খাবার নয়, তিনি নিরাপদ পানি গ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি ছাত্রীদের তাদের নিজ নিজ পরিবারকে সচেতন করার আহবান জানান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস